১লা জানুয়ারী ২০২৪ গ্রামীণ এলাকায় সব রেশন দোকান খোলা থাকবে....প্রেস ক্লাবে এই কথা জানালো ওয়েস্ট বেঙ্গল এম. আর. ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন
ইন্দ্রজিৎ আইচ (কলকাতা):অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ সপ ডিলার্স ফেডারেশনের ডাকে ,আগামী ১লা জানুয়ারী ২০২৪ থেকে অনির্দিষ্ট কালিন সারা ভারত বর্ষ ব্যাপী রেশন দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনা করেছে, এর তীব্র প্রতিবাদ করলো ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।এই অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক হাজী হাসান উল্লাহ লস্কর আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে এই ১ লা জানুয়ারি আমরা রেশন দোকান বন্ধ রাখছি না গ্রামে, আমাদের এই সংগঠনের সারা বাংলায় সর্বোচ্চ সদস্য ও সদস্যা সংখ্যা হলো ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার । বর্তমানে গ্রামীন এলাকা ভুক্ত সারা বাংলায় ১৮৭৬৫ জন রেশন দোকানদার যাদের একমাত্র সংগঠন ওয়েষ্ট বেঙ্গল এম ,আর ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশন। এই সংগঠনের অন্তরভুক্ত সদস্য ও সদস্যা তারা । অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ সপ ফেডারেশন নামক সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত না হওয়ার কারনে উক্ত ধর্মঘটে তারা সামিল হবে না । বাংলার মানুষের স্বার্থে গ্রাহকের পরিষেবা ১ লা জানুয়ারী ২০২৪ গ্রামিন এলাকার সমস্ত রেশন দোকান যথারীতি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে রেশন দোকান খোলা রাখার এবং বরাদ্ধকৃত খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা ।
আমাদের সংগঠনের সাথে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলার রেশন দোকানদারদের বিভিন্ন স্বার্বিক সমস্যা এবং মৌলিক দাবী দাবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বাংলার রেশন দোকানদারদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনার মাধ্যমে হতে থাকে । আজ ২৭/১১/২৩ তারিখে বেলা ২ ঘটিকায় মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী শ্রী রথীন ঘোষ মহাশয়কে অত্র সংগঠনের মৌলিক দাবী দাবার স্বারকলিপি প্রদান করে আলোচনা করা হয়েছে , সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা আশাবাদী রাজ্য সরকারের কাছে রাজ্য সরকার এবং খাদ্য দপ্তরের বিভাগীয় মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী মহাশয় সত্তর বাংলার রেশন দোকানদারদের উপযুক্ত কমিশন বৃদ্ধি সহ অনান্য সমস্যার সমাধান করার জন্য সচেষ্ট হবেন । সরকারের বিভাগীয় খাদ্য মন্ত্রী মাননীয় শ্রী রথিন ঘোষ মহাশয় আলোচনাতে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন এবং আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলার রেশন দোকানদারদের মৌলিক দাবীর এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবেই । এই মর্মে জানাতে চাই যে, সারা ভারতের অনান্য রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার সাথে
পশ্চিমবাংলার রেশন ব্যবস্থা সম্পুর্ন আলাদা, কারন ভারতের একমাত্র রাজ্য পশ্চিম বঙ্গ হলো সর্বজনিন রেশন ব্যবস্থা হিসাবে চালু আছে বা পরিগনিত হইয়াছে। এছাডা বাংলার মানুষের জন্য অতিরিক্ত জনহিতকর প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ হয়, যেমন জঙ্গলমহল এলাকার মানুষের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য / নদীবহুল এলাকার মানুষের জন্য আয়লা প্রকল্পের খাদ্যদ্রব্য বিতরন হয় / টোডো এলাকা ভুক্ত মানুষের জন্য খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হয় / সিঙ্গুর এলাকার মানুষের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য বরাদ্ধ আছে / চা বাগান শ্রমিকের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য চালু আছে / পাহাড় বা হিল এলাকার মানুষের জন্য অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য বরাদ্ধ আছে যা আজও পর্যন্ত সারা ভারতেবর্ষে কোনো রাজ্য সরকার এই রকম জনহিতকর প্রকল্প চালু করতে পারেনি ।
বাংলার গন বন্টন ব্যবস্থাকে বানচাল করতে কিছু ব্যক্তি বিশেষ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বাংলার রেশন নিয়ে অস্থিরতা করার প্রয়াস নিয়েছেন ।
সবিনয় নিবেদন , সেই সমস্ত মানুষের কাছে বা গন মাধ্যমকে তারা বাংলার রেশন গ্রহিতার কাছে গিয়ে জিঙ্গাসা করে দেখতে পারেন বাংলার রেশন গ্রহিতারা তাদের পরিবারের রেশন কার্ড নিয়ে নিজ নিজ রেশন দোকান থেকে সরকারী বরাদ্ধকৃত রেশন দ্রব্য পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না ? প্রতিটি গ্রাহকের নিজের মোবাইলে সরকারী ভাবে মেসেজ প্রদান করা হয় মাসিক বরাদ্ধ কৃত খাদ্য দ্রব্যের পরিমান । রেশন দোকানদার বায়োম্যাটিক নিয়ে মাসিক রেশন দ্রব্য সরবরাহ করছেন এবং ই পস মেশিন থেকে বরাদ্ধের পরিমান অনুসারে বিল পাচ্ছেন । সেটা খোঁজ খবর নিলেই তো বুঝতে পারা যাবে বাংলার রেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে এবং ভালো চাল / পেকেট যুক্ত পুষ্টি যুক্ত আটা পাচ্ছেন কি না ? সেটা গ্রাহকের দুয়ারে গিয়ে দেখুন সত্যটা জানতে পারবেন সাধারন মানুষজনেরা কি বলছেন । এই বাংলার স্বচ্ছ রেশন ব্যবস্থা সারা ভারতে কাছে এক দৃষ্টান্তমুলক জনহিতকর প্রকল্প মনে করছি । এই সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এই সংঘঠনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট পরেশ চন্দ্র হাজরা, রাজ্য কমিটির কোষাধক্ষ্য বিকাশ কুমার বাগ ও রাজ্য কমিটির সদস্য ইয়াজুল ইসলাম খান।
Comments
Post a Comment