২২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৪৯ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা
ইন্দ্রজিৎ আইচ (কলকাতা): শারদ উৎসবের পরে এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। আগামী ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা
উদ্বোধন হবে ২২ জানুয়ারি, মেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।আজ কলকাতার পার্ক হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বইমেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায় জানালেন মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জী। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশ ও বিদেশের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য গুণিজন। স্থান, বইমেলা প্রাঙ্গণ, সল্টলেক। প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জীকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বইমেলায় সার্বিক সহযোগিতা ও প্রাঙ্গণের উন্নয়ন করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ নগরোন্নয়ন দপ্তর, কে এম ডি এ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, বিধাননগর পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পৌরসংস্থা সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যান্য দপ্তরের কাছেও। বই মেলার সভাপতি সুধাংশু শেখর দে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন,
আপনারা সকলেই জানেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা পৃথিবীর বৃহত্তম পাঠকধন্য বই উৎসব। ২০২৫ সালের বইমেলায় এসেছিলেন ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী মানুষ, বই বিক্রির পরিমাণ ২৩ কোটি টাকা। মেলার এই অভাবনীয় সাফল্যে আমরা যেমন আনন্দিত, তেমনই চিন্তান্বিতও। কারণ, আগামী বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক নতুন প্রকাশক আবেদন করেছেন। অথচ বইমেলা প্রাঙ্গণের পরিসর এতটুকুও বাড়ানো যায়নি। তদসত্ত্বেও গতবার আমরা সামান্য কিছু নতুন স্টল দিতে পেরেছি। তাই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আগামী বইমেলায় স্টলের সংখ্যা আর বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এই প্রথম ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করছে আর্জেন্তিনা যে দেশের সঙ্গে ভারত তথা বাংলার অতি নিকট সম্পর্ক। আমাদের বিশ্বাস, এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আজ এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারত এবং আর্জেন্তিনা দূতাবাসের দুজন প্রতিনিধি। বইমেলায় ফোকাল থিম হিসেবে অংশগ্রহণের বিষয়ে পড়ে আরো বিস্তারিত ভাবে পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হবে। সুধাংশু শেখর দে আরো বলেন
আগামী ২০২৭ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সুবর্ণজয়ন্তী। এই উপলক্ষে আমরা চাইছি, যেসব আলোকচিত্রী প্রথম ২০ বছর অর্থাৎ ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ অবধি ময়দানে আয়োজিত বইমেলার দুর্লভ সব ছবি তুলেছেন, তাঁদের আলোকচিত্রের একটি প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী করতো এইসব দুর্লভ ও স্মৃতিবিজড়িত ফটোর মধ্যে সেরা ১০ টিকে আমরা যথাযোগ্য মূল্যে পুরস্কৃত করব। ২০২৬ বইমেলার প্রেস কর্ণারে তাঁদের পাঠানো সব ছবিই মনোনয়ন সাপেক্ষে প্রদর্শিত হবে। আমাদের এটাও ইচ্ছা, আগামী সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে এই ছবিগুলি বইমেলার স্মরণিকায় প্রকাশ করার। ই-মেলে স্বচ্ছন্দে আপনাদের সংগ্রহে থাকা যেকোনও বইমেলার ছবি পাঠাতে পারেন। ছবি পাঠাবার শেষ দিন ১০ ডিসেম্বর ২০২৫।
প্রতিবছরের মতো আগামী ২০২৬ বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, পেরু, কলম্বিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ। আলোচনা চলছে আরও কিছু দেশের সঙ্গে। অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০২৬ এ আরও বেশি সংখ্যক দেশের উপস্থিতি আশা করছি। এছাড়া থাকছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের প্রকাশনাও, যেমন দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাডু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, কর্ণটিক, উড়িষ্যা, ত্রিপুরা... ইত্যাদি। যথারীতি থাকবে লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন, চিলড্রেনস প্যাভিলিয়ন ও অন্যান্য আকর্ষণও। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ, কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল, KLF, অনুষ্ঠিত হবে ২৪ এবং ২৫ জানুয়ারি। আজ পার্ক হোটেলে বই মেলার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিসেস আনন্দী কুইপো রিয়াভিটজ (কনস্যুলার সেকশনের প্রধান), রাজু বর্মণ, (কোষাধ্যক্ষ, গিল্ড), ইসুদীপ্ত দে ( নির্বাহী কমিটির সদস্য), এশা চ্যাটার্জী( নির্বাহী কমিটির সদস্য), আন্দ্রেস সেবাস্তিয়ান রোজাস, (কাউন্সেলর), শুভঙ্কর দে, (নির্বাহী কমিটির সদস্য),
শিলাদিত্য সরকার (সদস্য গিল্ড)।
Comments
Post a Comment